মজার পার্সোনালিটি টেস্ট, নিজেকে জানুন…

এই পার্সোনালিটি টেস্টটিকে কাজ করানোর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আমি যা বলব শুধু তাই খুব ভালোভাবে চিন্তা করা এবং আপনার মনে প্রথম যেটা আসে সেটাই উত্তর হিসেবে দেয়া… কারণ এখানে যদি অনেক অনেক চিন্তাভাবনা করে উত্তর দেন, তাহলে যে রেজাল্ট পাবেন, সেটা ভাল হবে না। তাই একটা খাতা কলম নিন….এবং আরেকটা কথা, সত্যি কথা লিখবেন, আর আমি যা বলে যাবো তা মনে মনে কল্পনা করে নিতে হবে…আর মনে প্রথম যেটা আসবে, সেটাই উত্তর দিতে হবে।

ঠিক আছে, তাহলে শুরু করা যাক,

::::: স্টার্ট :::::

প্রথমে কল্পনা করুন , আপনি একটা জাহাজে করে যাচ্ছেন, সেই জাহাজটা হঠাৎ করে ডুবে গেল। আপনি কিছুক্ষণ পানিতে ভাসার পর আপনাকে একটা লাইফবোট পানি থেকে উদ্ধার করে নিলো… এখন ভাবুন তো, লাইফবোটটাতে মানুষ কয়জন?

ঠিক আছে.. এখন আপনি অনেক কষ্টে লাইফবোটে করে ডুবে ভেসে, সাতরে হাচড়েপাচড়ে একটা বীচে এসে থামলেন, উঠে দেখলেন বীচে কোন মানুষজন নেই, অনেক দূরে শহর দেখা যাচ্ছে। আপনি কী করবেন, সাথে সাথে শহরে রওনা দিয়ে দেবেন, নাকি যতক্ষণ ইচ্ছা বিশ্রাম নেবেন বীচে শুয়ে, নাকি একটু রেস্ট নিয়ে আবার শুরু করবেন হাটা? লিখে ফেলুন।

আচ্ছা, আপনি উপরের যে কোনটা করে, তারপরে একসময় শহরে এসে ঢুকলেন… অনেক মানুষজন দেখলেন, শহুরে কোলাহল যাকে বলে। আপনি হাটতে হাটতে রাজপ্রাসাদের সামনে এসে পড়েছেন। রাজপ্রাসাদের সামনে তার দারোয়ান ঘুমোচ্ছে । গেট তালা দেয়া। আপনি কী করবেন? দেয়াল টপকে ঢুকে পড়বেন, নাকি ডাক দিয়ে দারোয়ানকে তুলে গেট খুলিয়ে তারপর ঢুকবেন? লিখে ফেলুন।

প্রাসাদের ভেতর অনেক লোক। এগুতে এগুতে আপনি দরবার ঘর বা যাকে বলে থ্রোন-রুম সেটায় এসে পড়েছেন। রাজা তার আসনে বসে কিছু মানুষের সাথে কথা বলছেন। ভাল করে ভাবুন এখন। রাজার পার্সোনালিটি কেমন? রাজাকে দেখে কী মনে হচ্ছে? তিনি কী ধরনের আলোচনা করছেন মানুষগুলোর সাথে? ভাবুন, আর লিখে ফেলুন।

আপনি নিজে রাজার সাথে কিছু গল্প করে তারপর প্রাসাদের ছাদের ঘরে উঠলেন। সেখানের একটা ছোট্ট জানালা দিয়ে দূরে সাগর দেখা যায়। সেদিকে তাকান। এখন বলুন, সাগরে কয়টা নৌকা দেখা যাচ্ছে? লিখে ফেলুন।

এরপর আপনি একটা পেচানো লম্বা সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসছেন। মাঝপথে দেখলেন ঢাল-তলোয়ার নিয়ে একটা নাইট উপরে উঠছে। আপনার পাশ কাটানোর সময় তার মুখটা আপনি দেখলেন। অবাক কান্ড, কারন আপনি তাকে চেনেন.. মানুষটা কে?

এখন ফলাফল… এটা আরো বড় করা যেত কিন্তু আমার অনেক বন্ধু আমার কাছে অভিযোগ করেছে যে আমার ব্লগ লেখা অনেক বড় হয়ে যায়, তাই সংক্ষিপ্ত রাখতে চেষ্টা করলাম।

:::: ফলাফল ::::

১. লাইফবোটে যতজন মানুষ দেখেছেন, আপনার ধারণা আপনার জীবনে ততজন সত্যিকারের বন্ধু আছে।
২. বীচের ব্যাপারটা হল আপনার কাজের স্টাইল। যে যত বেশি রেস্ট নেবে সে তত অলস।
৩. দারোয়ানকে দিয়ে তালা খুলিয়ে ঢুকেছেন? আপনি নিজের কাছে সৎ থাকতে পছন্দ করেন। দেয়াল টপকে ঢুকেছেন? আপনি আইন-টাইন কেয়ার করেন না।
৪. রাজার পার্সোনালিটি যা দেখেছেন, তা হল আপনার আদর্শ। আপনি এমন মানুষ ভালোবাসেন, এমন মানুষের সাথে থাকতে চান, এমন মানুষ হতে চান। আপনার বন্ধুদের মাঝে এই পার্সোনালিটি পাওয়া যাবে। রাজা যা আলোচনা করছেন সেটা আপনার পছন্দের ক্ষেত্র।
৫. সাগরে যতটা নৌকা দেখেছেন, আপনার জীবনের লক্ষ্যও ততটাই। যদি একটা নৌকা দেখে থাকেন, তাহলে আপনি এমন মানুষ যার ওপর যে কোনো কাজে নির্ভর করা যায়।
৬. নাইট হিসেবে যে লোকটাকে দেখবেন তাকে আপনি দেখতে পারেন না। তাকে দেখলে আপনার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, গা জ্বলতে থাকে। মোটকথা তাকে আপনি সহ্য করতে পারেন না।

আমি জানি পোস্টটা একটু বড়ই হয়ে গেছে, কিন্তু আশা করি আপনারা মজা পেয়েছেন। আর যদি কেউ ১ টা নৌকা দেখে থাকেন, তাহলে কমেন্টে জানাবেন। আমি নিজেও ১ টা নৌকাই দেখেছিলাম। 😉

Author : Tahmid
Visit My Blog